রবিবার, ২৬ Jun ২০২২, ০২:৫২ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাস যখন মানুষের জীবনকে ঝুকিপূর্ণ করে ফেলছে , মানুষ অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে যে কোন ঔষধ পাওয়া যায় কিনা, চিকিৎসা করা যায় কিনা, ঠিক তখনি ডাক্তাররা দেখলো করোনায় আক্রান্ত যে রোগী ভালো হয়ে গেছে সে যদি ১৪ দিন পরে তার প্লাজমা যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে প্লাজমা দেন তাহলে সেই রোগী সুস্থ হয়ে যাচ্ছে বিধায় প্লাজমা টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িঁয়েছে।
কে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে অন্যরা কিভাবে জানবে সেই চিন্তাকে মাথায় রেখে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক গাজীপুর মহানগরের সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজিব দেশের মধ্যে যারা করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে তাদের কাছে প্লাজমা দান করার জন্য আহবান জানান এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠা রোগীদের নিয়ে একটা ডাটাবেজ তৈরি করার প্রকিয়া শুরু করেন যাতে করে সহজে একজন রোগী প্লাজমা পেতে পারে। প্লাজমা পেতে যেন কষ্ট করতে না হয়।
মনিরুল ইসলাম রাজিব বলেন‘ যে রোগীটি করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠার ১৪ দিন পর প্লাজমা দান করতে পারবে, একজন সুস্থ হয়ে উঠা ব্যাক্তি ২৮ দিন পর পর প্লাজমা দিতে পারবে তার এই প্লাজমা দানে অন্যর জীবন বেচে যাবে এইটা ভাবতে পারেন কত বড় মহৎ কাজ, তাই আসুন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠা ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্লাজমা দান করি একটা জীবন বাচাই ‘।
এই ব্যাপারে একজন করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীকে জিজ্ঞেস করলে বলে দেখেন কার কি রক্তের গ্রুপ কখন কার প্লাজমা লাগবে সেটা তো বলা মুশকিল তাই যদি কেউ তথ্য সংগ্রহ করে রাখে তাহলে প্লাজমা দান করা সহজ হয় এবং মনিরুল ইসলাম রাজিব ভাই যে উদ্যোগ টা নিয়েছেন তাকে সাধুবাদ জানাই।
আরেক জন করোনায় আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সদস্য কে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, দেখেন আমার বড় ভাইয়ের প্লাজমা দরকার ছিল কিন্তু খুজে পাচ্ছিলাম না অনেক কষ্ট করে খোঁজ করে প্লাজমা সংগ্রহ করেছি এখন আমার বড় ভাই সুস্থ হয়ে উঠার পথে ভাইয়া বলেছে সে সুস্থ হয়ে গেলে তিনিও প্লাজমা দিবেন, তাই প্লাজমা দাতাদের একটা তথ্য থাকলে সবার কাজে আসবে বিধায় মনিরুল ইসলাম রাজিব এর উদ্যোগটি মহতি উদ্যোগ।
এই মহামারীতে থেকে বেচে উঠার জন্য চলুন করোনা ভাইরাস থেকে যারা সেরে উঠেছি প্লাজমা দান করি অন্যর জীবন বাচাঁতে এগিয়ে আসি।